Wednesday, 5 September 2018

কবি -ডট.পেন ওরফে সুদীপ্ত সেন এর লেখা এক গুছ কবিতা


প্রতিটি দিনের ফুটেজ থাকতো যদি
স্মৃতির গায়েই ভরে যেত বহু নদী!
                              ----------🖋ডট.পেন
      ===================

1.)
       নিয়মে নেই আর
  ---------------------------ডট.পেন

কাকাতুয়ো রঙের একটা স্টেশন আর কত গুলো সিট
       যেমন থাকে
মাঝে মাঝে খবর হওয়ার কথা, নড়েচড়ে ওঠে জিরনো পিঠ।
      যেমন হয় আরকি....!

এই ভাবেই সকাল, দুলে চলে গতি, ট্রেন, পেরিয়ে যায়........
মাঝে মাঝে পূর্নছেদের বদলে এতো গুলো অযথা কমা হলে ভালোই হয়
জীবনে বা হালকা গোলাপি ওই পাঞ্জাবিটাই

বলুন....?

2.)
ছোটো বেলা
-----------------ডট.পেন

 তারের ক্লিপ শাড়ি মেলা আলসেমি
 অনেকটা ছোটো বেলা, অনেকটা
 ঘুরে ঘুরে জরিয়ে কাপড় গা
 ছাদের গায়ে শব্দ ঝুমুর পা!

গভীর গাছের পাতাদের অন্ধকার
মনে পড়ে খুব, খুব মানে গভীর মতো
লিখিনা তখন, ছোটো তো---,
তাই সাজানো কলম স্মৃতির ওপর রাখা

যা কিছু ছিল সবটাই তুলে আজ
          আঁকা হলো ছোটো বেলা।

৩.)
শব্দ করো
--------ডট.পেন

শব্দ করো, শব্দ করো পারলে তুমি আরেকটুটা
হাওয়ার গায়ে ভাসিয়ে দেব নৌকো কাগজ,
বৃষ্টি এলে উড়িয়ে দেব এপাশ ওপাশ বর্ষাতিটা
তোমার নামে সবটা রঙিন কথার অবাধ্য সাজ।

হালকা মতো অালোর আভা যে পথে যায়
ভাঙছে কথা নিরব কথায় অজস্র ভুল,
তোমার নামে বিন্দু আলোর নিয়নকে পায়
ভুলের মাপেই উড়িয়ে দিলে শ্যাওলা যে চুল।

৪.)
    | প্রতিবাদও খুন |
---------------------ডট.পেন
মাটি থেকে বেরিয়ে এসো মা
মূর্তি তোমায় চিনছে কেবল মাটি,
শহরে আজ অনেক পাপের দল
ত্রিশূল যেন ভাঙে তাদের ঘাঁটি!

মাটি থেকে বেরিয়ে এসো মা
নিজের পিতাও ধর্ষক সাজে রোজ,
কান্না তোমায় চাপতে হবে মা'গো
তোমার ত্রিশূল তাদের করুক খোঁজ!

মাটি ভেঙে শরীর হয়ে যাও
পান থেকে খসিয়ে দাও চুন,
কিন্তু তোমার এটুকু জানা দরকার
এ দেশেতে প্রতিবাদও খুন!

৫.)
  রেটিনার কান্নার মতো
-------------------ডট.পেন

পাতার ভাঁজে ভাঁজে অবুঝ কথামালা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে তোমার ফ্ল্যাটের রঙ
শূন্যে ঘোড়াগোলি শহরে বাস্পিত
আদরে হাতছানি বাঁচাটা সম্ভ্রম!

ট্রেনের জানলায় নৌকো নদী গায়ে
তোমার ফেরানো শান্ত চিঠি গুলো
বাঁচার ঠিকানায় ভলোটা বেছে রাখি
তোমার মতো কি অন্য কেউ ছিল?

চকের দাগে কত ফরমোলা আঁকা
এলোমেলো অঙ্কের সত্য ছবি যত
ফিরিয়ে দেওয়াটা অবশেষ ছিল
তোমার রেটিনার কান্নার মতো!

৬.)
     ক্লান্তভাবে
-------------------ডট.পেন

গোধূলিত মেঘ গুছিয়ে নামায় জোনাকি গায়ে রাত্রি
আমরা তখন হাঁটছি কেবল ক্লান্ত সহযাত্রি।

দৃশ্যপটে নামিয়ে রাখি সবুজ মেঘের শান্তি
আর গুছিয়ে বলার কারাসাজিতে হচ্ছে
ভুল-ভ্রান্তি।

অবাক তখন হাওয়ার ছলে পাশ কাটিয়ে বলছি,
অনেকটা ঠিক তোমার মতো জলের কাছে শুনছি।

গাছের গায়ে মৃত্যু বাঁধা আর অনেকটা প্রায় জ্যান্ত
তোমার কথায় রাত্রি আসে জোনাকি ঠিক জানতো!

৭.)
সামনের ফ্ল্যাটে যে মেয়েটা গাইত
----------------------------------ডট.পেন

লিখেছিল কেউ, খুলেছিল জানলা আর জমেছিল রাস্তার জল
আসলে উঠে এসেছিল ড্রেন থেকে ভারী বৃষ্টির কোলাহল।

আকাশে উড়ে গেল বক, সা রে গা মা শোনা গেল না
উড়তে দেখা গেল না তোমার ওই নীল ওড়না।

আমার হুইল চেয়ার শোনার চেষ্টা করে 'আয় তবে সহচরী'
কথা ছিল না তো এরকম কাল, বিকেলে উড়িয়ে ছিলাম ঘুড়ি।

বলোনি কিছুই যে চলে যাবে তুমি, রজনীগন্ধা গাড়ি
শূন্যের আজ নেই কোলাহল সা রে গা মা হীন বাড়ি!!

৮.)
দিন যেখানে চুপচাপ
-----------------------------ডট.পেন

নীচের দিকে চল আরও নীচের দিকে
বলেছিল কিছু তরুণ-তরুণীর দল
হ্যাঁ আরও নীচের দিকে যেখানে.....
তবে তারা স্পষ্টত নির্দল!

কোথায় যেতে চেয়েছিল তারা?
অকারণ ভিড়ে বসে সব,
অযথা কি করছিল সেখানে
নির্দল তরুণ-তরুণীরা!

ভিজিয়ে দিচ্ছিল পাতার সবুজঋণ
মিলিয়ে দিচ্ছিল মন্দির-মসজিদ,
গেঁথে দিচ্ছিল শেলোটেপ, আলপিন
পাশ থেকে দেখা লোক বলেছিল- তারা শুধুই স্বার্থহীন!

৯.)

মাঝির নৌকো
---------------ডট.পেন

ফেরির ঘাটে শুকনো কিছু পাতার
কুটো
একটু দূরে সূর্য ডোবার সময় আছে
তাই এখনও গঙ্গা পাড়ে নৌকো দুটো,
অল্প বয়স মাঝির ছেলে বাবার কাছে।

হালকা ডেকে ফিরছে বাড়ি শঙ্খচিলে
তাদের যাওয়া মাঝির ছেলে তাকিয়ে দেখে
এবার এখন  সূর্য ডোবে গঙ্গা জলে,
মাঝির ছেলে বায়না ধরে দেখবে মাকে।

দূরের দেশের নৌকো এবার ফিরবে ঘাটে
অনেক রকম স্মৃতির আঁচড় নৌকো নিল।
বিনিময়ের নিয়ম মেখে সূর্য পাটে,
ফিরল ফেরি নৌকো যেমন ফেরির ছিল।

১০.)
     সেই রাতে
------------------ডট.পেন

তোমার আমার মেশার সময় রাত
অনেক কথায় রাত পেরিয়ে ঘন
অবাধ্যতায় নিষেধ পেরই হাত
তোমার চোখেই আমার পাতা গুনো।

হিসেব তখন মিলেয়ে গেল চুলে
শরীর তখন শরীর ছুঁয়ে যায়
মধ্যেখানে পোশাক তখন ভুলে
বিছানা কিন্তু রক্ত ভেজা হয়।

তুমি তখন ক্লান্ত হয়ে গেছো
এলোমেলো ঠোঁট ছুঁয়েছি তোমার
তুমি কিন্তু তাকিয়ে তবু আছো
ক্লান্ত তবু রাত ভুলেছি ঘুমার।

তুমিও কিন্তু লজ্জা রাঙা হও
এক-দু ফোটা চোখের কোণায় জল
ক্লান্ত তবু ক্লান্ত ঠিক নও
শূন্য তখন বাইরে কোলাহল।

অনেক গভীর পৌঁছে গেল সুখ
সুখের কাছে তোমার স্তনের ঋণ
তোমার যখন আয়না দেখে মুখ
হাসল মৃদু তোমার-আমার দিন।

No comments:

Post a Comment