সম্পাদকীয়,
আমাদের গ্রুপে অ্যাডমিন কবি ব্যতীত সকলের কবিতা প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হয়। এবং সপ্তাহান্তে সেরা কবিদের নাম ঘোষণা করা হয়। আমরা নিজেদের নিজেরাই পুরস্কৃত করার পক্ষপাতী নই। এমতাবস্থায় অ্যাডমিন কবিগণের (যারা দেবেন) কবিতা নিয়ে 'সাপ্তাহিকী' প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছি। সকলে পড়ুন, গঠনমূলক মতামত দিন।
আমাদের গ্রুপে অ্যাডমিন কবি ব্যতীত সকলের কবিতা প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হয়। এবং সপ্তাহান্তে সেরা কবিদের নাম ঘোষণা করা হয়। আমরা নিজেদের নিজেরাই পুরস্কৃত করার পক্ষপাতী নই। এমতাবস্থায় অ্যাডমিন কবিগণের (যারা দেবেন) কবিতা নিয়ে 'সাপ্তাহিকী' প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছি। সকলে পড়ুন, গঠনমূলক মতামত দিন।
সূচী----------------
হেঁটে চলার গান --- রীতা রায়
অজানা পথিক - দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
ও মেয়ে - দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
ক্লান্তভাবে - সুদীপ্ত সেন
জল-বৃষ্টির খেলা - মানস খাঁড়া
একটি দূরপাল্লার ট্রেন - মৌসুমী ভৌমিক
হেঁটে চলার গান --- রীতা রায়
অজানা পথিক - দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
ও মেয়ে - দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
ক্লান্তভাবে - সুদীপ্ত সেন
জল-বৃষ্টির খেলা - মানস খাঁড়া
একটি দূরপাল্লার ট্রেন - মৌসুমী ভৌমিক
================================
হেঁটে চলার গান
রীতা রায়
*********************
বই...খাতা...কাগ..অ..অ..জ.....
শব্দটা কত গজ অব্দি ছড়ায়....
সে নিয়ে কারও মগজ ভাবে না।
তবু, গজ্ গজ্ না করে প্রতিদিন
একই সুরে হাঁক পাড়ে.....
ক্রমাগত নুব্জ হয়ে আসা বৃদ্ধের শীর্ণ
কুব্জে যত জীর্ন অপ্রয়োজনীয় ভার
প্রয়োজন যাকে বাধ্য করে বইতে
কর্মভার।
নাভ থেকে নাভি ....নাভি বেয়ে...
নাভিশ্বাস, ...ছোট ছোট হাঁপ....
কখনো দীর্ঘশ্বাস....।
আশপাশগুলো সরে যেতে যেতে ...
অবশেষে কাশের থুতুতে ওঠে রক্ত!
উত্তক্ত ত্রিধা ...দ্বিধাহীন পরিত্যক্ত
আস্থার আলোয়ান গায়ে ।
চাহিদার চিরুনীতল্লসী,
উত্তপ্ত উল্লাসী টাক্.....।
টাক্ আর ট্যাক্ দুই-ই খালি, যখন
খালি হাত ঘাঁটে খালি কৌটো..
খালি শিশি,--খালি বেয়াদপ খেয়াল
ঘাপটি মারে যখন তখন,
কোনঠাসা মনের ফোকরে।
হীনমন্যতার গন্ডী যাকে এগোতে দেয় না কখনো...তখন কী মনে হয়,
যার যেথা ঘর! আবর্জনার মাঝে
ঠিকরানো ঝিলিক কুড়িয়ে....
বাঁচার আরোহ পথে,
হেঁটে চলার গান...
গাঙচিলের গোঙানির মতো ভাসে
দূর-দূরান্তের রোদ্দুরে.....
বই..খা..তা...কা ..গ..অ..অ..অ..জ..
==============================
অজানা পথিক _____
দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
******************
আমি এক অজানা পথিক,
নেই কোনো ঠিকানা আমার ।
হেঁটে চলেছি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত --
জানি না কেন?
হয়তো ঠিকানার খোঁজে ।
চলার পথে একে একে সবাইকে জিজ্ঞাসা করি,
তুমি কি পারবে আমায় ঠিকানার খোঁজ দিতে?
হেঁটে চলার গান
রীতা রায়
*********************
বই...খাতা...কাগ..অ..অ..জ.....
শব্দটা কত গজ অব্দি ছড়ায়....
সে নিয়ে কারও মগজ ভাবে না।
তবু, গজ্ গজ্ না করে প্রতিদিন
একই সুরে হাঁক পাড়ে.....
ক্রমাগত নুব্জ হয়ে আসা বৃদ্ধের শীর্ণ
কুব্জে যত জীর্ন অপ্রয়োজনীয় ভার
প্রয়োজন যাকে বাধ্য করে বইতে
কর্মভার।
নাভ থেকে নাভি ....নাভি বেয়ে...
নাভিশ্বাস, ...ছোট ছোট হাঁপ....
কখনো দীর্ঘশ্বাস....।
আশপাশগুলো সরে যেতে যেতে ...
অবশেষে কাশের থুতুতে ওঠে রক্ত!
উত্তক্ত ত্রিধা ...দ্বিধাহীন পরিত্যক্ত
আস্থার আলোয়ান গায়ে ।
চাহিদার চিরুনীতল্লসী,
উত্তপ্ত উল্লাসী টাক্.....।
টাক্ আর ট্যাক্ দুই-ই খালি, যখন
খালি হাত ঘাঁটে খালি কৌটো..
খালি শিশি,--খালি বেয়াদপ খেয়াল
ঘাপটি মারে যখন তখন,
কোনঠাসা মনের ফোকরে।
হীনমন্যতার গন্ডী যাকে এগোতে দেয় না কখনো...তখন কী মনে হয়,
যার যেথা ঘর! আবর্জনার মাঝে
ঠিকরানো ঝিলিক কুড়িয়ে....
বাঁচার আরোহ পথে,
হেঁটে চলার গান...
গাঙচিলের গোঙানির মতো ভাসে
দূর-দূরান্তের রোদ্দুরে.....
বই..খা..তা...কা ..গ..অ..অ..অ..জ..
==============================
অজানা পথিক _____
দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
******************
আমি এক অজানা পথিক,
নেই কোনো ঠিকানা আমার ।
হেঁটে চলেছি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত --
জানি না কেন?
হয়তো ঠিকানার খোঁজে ।
চলার পথে একে একে সবাইকে জিজ্ঞাসা করি,
তুমি কি পারবে আমায় ঠিকানার খোঁজ দিতে?
আমি দেখেছি ভোরের আলো,
যে আলো আমায় ঠিকানার খোঁজ দেখায়নি ।
আমি শুনেছি পাখির ডাক,
যে ডাক আমায় বলেনি আমার ঠিকানা ।
ওই যে দাঁড়িয়ে আছে বটবৃক্ষ --
কত পাখির ঝাঁক নিয়েছে আশ্রয় তার কাছে ।
সে কি দিতে পারবে আমায় আশ্রয়ের ঠিকানা?
যে আলো আমায় ঠিকানার খোঁজ দেখায়নি ।
আমি শুনেছি পাখির ডাক,
যে ডাক আমায় বলেনি আমার ঠিকানা ।
ওই যে দাঁড়িয়ে আছে বটবৃক্ষ --
কত পাখির ঝাঁক নিয়েছে আশ্রয় তার কাছে ।
সে কি দিতে পারবে আমায় আশ্রয়ের ঠিকানা?
দুর প্রান্তে পর্বতের গা বেয়ে বয়ে যায় ঝর্ণা,
হয়তো আমি ওখানেই পাবো আমার ঠিকানা ।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি,
তুমি কি বয়ে এনেছো আমার ঠিকানা?
সে আমায় বলে --
তোমার ঠিকানা বয়ে আনার সামর্থ্য আমার নেই ।
হয়তো আমি ওখানেই পাবো আমার ঠিকানা ।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি,
তুমি কি বয়ে এনেছো আমার ঠিকানা?
সে আমায় বলে --
তোমার ঠিকানা বয়ে আনার সামর্থ্য আমার নেই ।
রাতের জ্যোৎস্নার চাঁদ আমি দেখেছি,
জিজ্ঞাসা করেছি তুমি কি দেখাতে পারো আমার ঠিকানা?
সে আমায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল --
তোমার ঠিকানা দেখানোর ক্ষমতা আমার নেই ।
আমি এক অজানা পথিক,
নেই কোনো ঠিকানা আমার ।
==============================
ও মেয়ে ____
দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
*******************
ও মেয়ে তোর গায়ে ওই রঙটি কালো,
অশ্রু ধারায় নিজেকে ভিজিয়ে নিলি আজও ।
ও মেয়ে তোর লাল ঠোঁটে দেখ্ চেয়ে,
কত যে হাসি ঝরে পড়ে ভূবন জুড়ে ।
ও মেয়ে তুই করলি পাগল তোর চুম্বন স্পর্শে,
বিশ্ব ঘোরা দিগন্তে ওই সূর্য্যটাকে ।
ও মেয়ে তুই যাবি আকাশের বুকে উড়ে,
মিলবি তখন ওই মেঘের সাথে গিয়ে ।
ও মেয়ে তোর রূপের বারি ঝরবে যখন,
নদী হয়ে মিশবি ওই সাগরে তখন ।
ও মেয়ে থাকিস যদি তুই এইখানে,
দেখবি তোকে খাবে ছিঁড়ে শয়তানে ।
ও মেয়ে তুই যাবি আমার সাথে,
ভাসাবো সুখের তরী ওই নদীর বুকে ।
ও মেয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরবি যখন,
লোকের মুখে ফুটবে হাসি তখন ।
ও মেয়ে তুই করবি পালন জননী রূপে,
শস্য ক্ষেতে ভূবন ভরা হাসি মুখে ।
ও মেয়ে ভুলেই এখন গেছিস তবে,
কুৎসিত ভেবে দুরে তোকে দিলো সরিয়ে ।
ও মেয়ে তোর গন্ধ মাখা শরীরখানা,
দিস না খেলতে ওই ভাগের খেলা ।
ও মেয়ে মিটিয়ে নে তবে কলঙ্কের জ্বালা,
আসবে এখন দেখ্ তোর সুখের ভেলা ।
==============================
ক্লান্তভাবে
------------------------সুদীপ্ত সেন
জিজ্ঞাসা করেছি তুমি কি দেখাতে পারো আমার ঠিকানা?
সে আমায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল --
তোমার ঠিকানা দেখানোর ক্ষমতা আমার নেই ।
আমি এক অজানা পথিক,
নেই কোনো ঠিকানা আমার ।
==============================
ও মেয়ে ____
দেবার্ঘ্য চ্যাটার্জী
*******************
ও মেয়ে তোর গায়ে ওই রঙটি কালো,
অশ্রু ধারায় নিজেকে ভিজিয়ে নিলি আজও ।
ও মেয়ে তোর লাল ঠোঁটে দেখ্ চেয়ে,
কত যে হাসি ঝরে পড়ে ভূবন জুড়ে ।
ও মেয়ে তুই করলি পাগল তোর চুম্বন স্পর্শে,
বিশ্ব ঘোরা দিগন্তে ওই সূর্য্যটাকে ।
ও মেয়ে তুই যাবি আকাশের বুকে উড়ে,
মিলবি তখন ওই মেঘের সাথে গিয়ে ।
ও মেয়ে তোর রূপের বারি ঝরবে যখন,
নদী হয়ে মিশবি ওই সাগরে তখন ।
ও মেয়ে থাকিস যদি তুই এইখানে,
দেখবি তোকে খাবে ছিঁড়ে শয়তানে ।
ও মেয়ে তুই যাবি আমার সাথে,
ভাসাবো সুখের তরী ওই নদীর বুকে ।
ও মেয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরবি যখন,
লোকের মুখে ফুটবে হাসি তখন ।
ও মেয়ে তুই করবি পালন জননী রূপে,
শস্য ক্ষেতে ভূবন ভরা হাসি মুখে ।
ও মেয়ে ভুলেই এখন গেছিস তবে,
কুৎসিত ভেবে দুরে তোকে দিলো সরিয়ে ।
ও মেয়ে তোর গন্ধ মাখা শরীরখানা,
দিস না খেলতে ওই ভাগের খেলা ।
ও মেয়ে মিটিয়ে নে তবে কলঙ্কের জ্বালা,
আসবে এখন দেখ্ তোর সুখের ভেলা ।
==============================
ক্লান্তভাবে
------------------------সুদীপ্ত সেন
গোধূলিত মেঘ গুছিয়ে নামায় জোনাকি গায়ে রাত্রি
আমরা তখন হাঁটছি কেবল ক্লান্ত সহযাত্রী।
আমরা তখন হাঁটছি কেবল ক্লান্ত সহযাত্রী।
দৃশ্যপটে নামিয়ে রাখি সবুজ মেঘের শান্তি
আর গুছিয়ে বলার কারাসাজিতে হচ্ছে
ভুল-ভ্রান্তি।
আর গুছিয়ে বলার কারাসাজিতে হচ্ছে
ভুল-ভ্রান্তি।
অবাক তখন হাওয়ার ছলে পাশ কাটিয়ে বলছি
অনেকটা ঠিক তোমার মতো জলের কাছে শুনছি।
অনেকটা ঠিক তোমার মতো জলের কাছে শুনছি।
গাছের গায়ে মৃত্যু বাঁধা আর অনেকটা প্রায় জ্যান্ত
তোমার কথায় রাত্রি আসে জোনাকি ঠিক জানতো!
==============================
জল –বৃষ্টির খেলা
মানস খাঁড়া
********************
তুমি কি বৃষ্টির কবিতা লেখ, নাকি মেঘ বালিকার ?
তুমি কি সুখ পাও? , প্রাকৃতিক শোভা লিখে
লেখনী ফেলে তুমি গালে হাত রেখে – বললে হুম ..
বলতে পারলে নাতো | বলবে কী করে ?
তুমি বললে হ্যা পাই , --না না থাক বলতে হবে না |
তুমি তোমার গাড়ির কালো কাঁচ দিয়ে শুধু বৃষ্টি অনুভব কর – তাই না !
কালো কাঁচ দিয়ে হয়ত দেখা যায় না ওই দূরে –
কোনো মেঘ বালিকা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শরীর খারাপ
তুমি হালকা হেসে বললে মেঘ বালিকা !বৃষ্টিতে ভিজছে , শরীর খারাপ?
আমি তোমার কবিতা পড়ে বুঝতে পারলাম না কে মেঘ কে বালিকা
আমি তো মেঘ বালিকা বলতে বুঝি ওই মেয়েটা –যে
সারাদিন বৃষ্টি বলে কাজ পায়নি , ক্ষুদিত পেট, পায়নি দুমুঠো খেতে |
কাল সারাদিন মেঘ –বৃষ্টি, ওই মেয়েটার বাড়ি জলে ভরেছে |
যতক্ষণ বৃষ্টি হলো- সাথ দিয়েছে তার
ওই মেঘ, আর এই বালিকা ,দুরত্বটা অনেক তাদের
মাঝখানেতে বৃষ্টি খানির তফাত |
আর ওর সারাদিন জল-বৃষ্টির খেলা |
====================================
একটি দূরপাল্লার ট্রেন
মৌসুমী ভৌমিক
***************
একটি দূরপাল্লার ট্রেন -
দীর্ঘ যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনে কত যাত্রী উঠছে নামছে-
কোনো কোনো যাত্রী শেষ স্টেশন পর্যন্ত সঙ্গী
কেউ বা একটি বা দুটি স্টেশন পরেই নেমে যায়।
কত কত মানুষের ভাললাগার সাক্ষী, ভালবাসা, খুনসুটি এমনকি অসুস্থ শরীরের বিষাদময়তারও সঙ্গী।
একটি দূরপাল্লার ট্রেন যেন
একটি জীবন
কিছু সহযাত্রী নিয়ে পথ চলতে চলতে
সুখে দুখে কষ্টে আনন্দে
নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে থেমে যায়।
তোমার কথায় রাত্রি আসে জোনাকি ঠিক জানতো!
==============================
জল –বৃষ্টির খেলা
মানস খাঁড়া
********************
তুমি কি বৃষ্টির কবিতা লেখ, নাকি মেঘ বালিকার ?
তুমি কি সুখ পাও? , প্রাকৃতিক শোভা লিখে
লেখনী ফেলে তুমি গালে হাত রেখে – বললে হুম ..
বলতে পারলে নাতো | বলবে কী করে ?
তুমি বললে হ্যা পাই , --না না থাক বলতে হবে না |
তুমি তোমার গাড়ির কালো কাঁচ দিয়ে শুধু বৃষ্টি অনুভব কর – তাই না !
কালো কাঁচ দিয়ে হয়ত দেখা যায় না ওই দূরে –
কোনো মেঘ বালিকা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শরীর খারাপ
তুমি হালকা হেসে বললে মেঘ বালিকা !বৃষ্টিতে ভিজছে , শরীর খারাপ?
আমি তোমার কবিতা পড়ে বুঝতে পারলাম না কে মেঘ কে বালিকা
আমি তো মেঘ বালিকা বলতে বুঝি ওই মেয়েটা –যে
সারাদিন বৃষ্টি বলে কাজ পায়নি , ক্ষুদিত পেট, পায়নি দুমুঠো খেতে |
কাল সারাদিন মেঘ –বৃষ্টি, ওই মেয়েটার বাড়ি জলে ভরেছে |
যতক্ষণ বৃষ্টি হলো- সাথ দিয়েছে তার
ওই মেঘ, আর এই বালিকা ,দুরত্বটা অনেক তাদের
মাঝখানেতে বৃষ্টি খানির তফাত |
আর ওর সারাদিন জল-বৃষ্টির খেলা |
====================================
একটি দূরপাল্লার ট্রেন
মৌসুমী ভৌমিক
***************
একটি দূরপাল্লার ট্রেন -
দীর্ঘ যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনে কত যাত্রী উঠছে নামছে-
কোনো কোনো যাত্রী শেষ স্টেশন পর্যন্ত সঙ্গী
কেউ বা একটি বা দুটি স্টেশন পরেই নেমে যায়।
কত কত মানুষের ভাললাগার সাক্ষী, ভালবাসা, খুনসুটি এমনকি অসুস্থ শরীরের বিষাদময়তারও সঙ্গী।
একটি দূরপাল্লার ট্রেন যেন
একটি জীবন
কিছু সহযাত্রী নিয়ে পথ চলতে চলতে
সুখে দুখে কষ্টে আনন্দে
নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে থেমে যায়।
No comments:
Post a Comment